গোপালীয়া
★প্রশ্নঃ যে ফুল সদ্য চয়ন হয়নি, আগের দিন বা তার আগের দিন তোলা হয়েছে সেই সব ফুল কি ভগবানকে নিবেদন করা চলে?★উত্তরঃ জ্ঞানমালা নামক শাস্ত্রের কথা হরিভক্তিবিলাস গ্রন্থে বলা হয়েছে---
ন পর্যুষিতদোষোহস্তি জলজোৎপলচম্পকে।
তুলস্যগস্ত্যবকুলে বিল্বে গঙ্গাজলে তথা॥
অর্থাৎ, "পদ্ম, উৎপল, চাঁপা, তুলসী, বকফুল, বকুলফুল, বেল
পাতা, ও গঙ্গাজল বাসী হলেও দোষ হয় না।" ভগবানকে
নিবেদন করা চলে।
★প্রশ্নঃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি কি ফুল ভালবাসেন?
★উত্তরঃ শুভ্র ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়। অবশ্য সুবাসযুক্ত নানা রঙের ফুলও নিবেদন করা যায়, তবে রক্তবর্ণ, গন্ধহীন, অকালে উৎপন্ন, ভূপতিত---এরূপ ফুল ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা উচিত নয়।
★পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে---
কীটকোষোপবিদ্ধানি শীর্ণ পর্য্যুষিতানি চ।
বর্জয়েদূর্ণনাভেন বাসিতং যদি শোভন॥
গন্ধবন্ত্যপি চিত্রাণি উগ্রগন্ধীনি বর্জয়েৎ।
গন্ধহীনমপি গ্রাহ্যং পবিত্রং যৎ কুশাদিকং॥
'পোকায় কাটা বা পোকা-লাগা, দূষিত, জীর্ণশীর্ণ, বাসী, মাকড়সা বাসা করেছে, এই ধরনের ফুল দিয়ে ভগবানের পূজা অর্চনা নিষিদ্ধ। সুগন্ধি হলেও অপবিত্র এবং উগ্র গন্ধযুক্ত ফুল প্রদান করা অকর্তব্য।
বৈহায়স পঞ্চরাত্রে বলা হয়েছে, শ্রীহরির পূজার জন্য চতুষ্পথ, মহাদেবের বাসস্থান এবং শ্মশান-ভূমি থেকে কোনও ফুল-ফলাদি গ্রহণ করতে নেই। জ্ঞানমালা শাস্ত্রে বলা হয়েছে সাধারণত কুঁড়ি অর্থাৎ, যে ফুল বিকশিত হয়নি, এরূপ ফুল নিবেদন করা উচিত নয়। তবে চাঁপা, যুথী, মল্লিকা, জাতি ইত্যাদি ফুলকলির গন্ধও অতি উত্তম বলে ভগবানকে নিবেদন করা যায়। সাধারণত বাসী ফুল নিবেদনের অযোগ্য হলেও পদ্ম, বক, বকুল ফুল বাসী হলেও দোষ হয় না। তবে মলিন, আঘ্রাণ নেওয়া হয়েছে, এমন ফুল ভগবানকে দিতে নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই যে, শাস্ত্রে কতকগুলি ফুল ভগবানকে নিবেদন করতে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হয়েছে, সেগুলির কিছু নাম দেওয়া হল---ধুতুরা, অর্ক, করবী, ঝিণ্টি, গিরিকর্ণিকা, কণ্টকারি, শাল্মলী, শিরীষ, কালকূটজ---এই সকল ফুলে কখনও শ্রীহরি প্রীত হন না।
2 ND POST-
আমিও তোমার মত ছিনু কোনো কালে।
গড়িতাম ভাঙিতাম অহংকার বলে॥
কিন্তু আশাহত হয়ে প্রতি পদে পদে।
ফিরিয়া চাহিনু পিছে কে আমারে রোধে॥
দেখিনু অবাক হয়ে বিরাট শকতি।
নিয়ন্ত্রিত করিছেন জগতের গতি॥
ব্যাকুল হইয়া তার পড়লাম পায়ে।
''রামভরসা'' দিলো মোরে যতনে তুলিয়া॥
নয়নেতে ছিল তাঁর প্রীতির করুনা।
বদনেতে ছিল তার অমিয় মাখানা॥
শীতল করিল মোর তাপিত পরান।
বলিলাম হে প্রভু লহ পরনাম॥
তোমার দাসত্ব আমি করিনু স্বীকার।
জীবনে মরনে রব আধীন তোমার॥
এ হৃদয় নিবেদিনু ও রাঙা চরনে।
যথা ইচ্ছা নিয়োজিত কর প্রিয়তমে॥ [রামভরসা]
গোপালীয়া
3RD Post
পশু বৃত্তি মানব জাতি করছেরে পালন।
অজ্ঞতার অহংকারে পরিপূর্ণ মন॥
পাপ পূর্ন ভালো মন্দ পশু জানে না।
এই মানব জাতি জেনে ও তাহা মেনে চলে না॥
ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি এদের আছে কত শত।
তথাপি এদের চলন বলন মূর্খের মতো॥
বাদঁরের আদর বেশি হচ্ছে সারা দেশে।
পিতা মাতার সেবা ছেড়ে কুকুর কেনে পোশে॥
এমন কিছু মানুষ আছে বিশ্ব চরা চরে।
হৃদয় ভরা নোংরা তাদের ভদ্র বেশে ঘুরে॥
ভদ্রবেশে ঘুরলে দেশে মানুষ বলে না।
মানুষ বলে জাগবে যেদিন জ্ঞানের চেতনা॥
অসৎ ব্যাক্তি অর্থ শক্তি যাচ্ছে কত বেড়ে।
সৎ ব্যাক্তি কঙ্কাল বেশে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ॥
পদকতা বলে ওরে মানুষ পশুর বৃত্তি ছাড়ো।
মানুষ যদি হতে চাও মানুষের সেবা কারো॥